স্থানীয়রা জানান, ইলিয়াস আলীর আধাপাকা ঘরে আগুন লাগে। ওই সময় বসতঘরে লোকজন না থাকায় আশপাশের লোকজন আগুনের ফুলকি দেখে ঘরের তালা ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুনের লেলিহান শিখায় ইলিয়াস আলীর ভাই আফতাব আলী, আসাব আলী ও তাদের বাবা আব্দুন নুরের ঘরসহ চারটি ঘরের মালামাল, আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে।
রামপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মকন মিয়া বলেন, আগুনের ভয়াবহতা দেখে বিশ্বনাথ থানায় ফোন করি এবং থানা থেকে নাম্বার নিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করে জানানো হয়। পরে ফায়ার সর্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় আড়াইঘন্টা চেষ্টার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।
ভোক্তভোগীরা জানান, তাদের পরনের কাপড় ব্যতীত সব কিছু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পরিবারের লোকজন নিয়ে খোলা আকাশের নীচে থাকতে হবে। বিশ্বনাথ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স’র কর্মকর্তা আকরামুল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের ১০ সদস্যের সমন্বয়ে ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই।
তিনি বলেন, প্রথম গ্যাস থেকে আগুন লাগার খবর পেলেও নিয়ন্ত্রনে আনার পর দেখতে পাই বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে চার পরিবারের অন্তত ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
থানার ওসি বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে বিষয়টি জানানো হয়। পরে থানা থেকে ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ সদস্য পাঠানো হয়ছে। বন্ধ ঘরে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।