সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আশিক আলীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী ইছকন্দর আলীর পুত্র। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্বনাথ পৌরসভার সেনারগাঁও গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর ২৩ এপ্রিল সিলেটের বিশ্বনাথে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেন। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধলে বিএনপির তিনকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আর এ ঘটনায় প্রায় ১৩ বছর পর চলতি বছরের ৬ মে সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা গ্রামের মৃত আসলাম আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১০৫ জনকে এজাহারনামীয় অভিযুক্ত ও আরোও প্রায় ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে। পরে আদালতের নিদের্শনায় বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি রের্কড করে পুলিশ। মামলা নং ১০, তাং ২২.০৬.২৫ইং)। ওই মামলার এজাহারনামীয় অভিযুক্ত হচ্ছেন গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ নেতা আশিক আলী।
এছাড়া ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিশ্বনাথ পৌর শহরের পুরাণ বাজারস্থ আল-হেরা শপিং সিটিতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় শপিং সিটির চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান বিশ্বনাথ থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আশিক আলী এজাহারনামীয় অভিযুক্ত রয়েছেন (মামলা নং ১০, ১৮.০৮.২০২৪ইং)। ওই মামলায় ৮৩ জনকে এজাহারনামীয় অভিযুক্ত ও আরোও প্রায় ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়। তাছাড়া পৌর শহরের আল-মদিনা হোটেল ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের করা আরেক মামলারও এজাহারনামীয় অভিযুক্ত হচ্ছেন আশিক আলী।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আওয়ামীল নেতা আশিক আলীকে গ্রেপ্তারের করা হয়েছে জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, আশিক আলী ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী।