বন্যার পানি ধীরগতিতে নামছে, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়ার প্রকোপ। পানির এমন ধীরগতিতে দূর্ভোগ বেড়েছে চরমে। ঘরেঘরে শিশু, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষ জ্বর-ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এমনটাই দেখা গেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে। গত পাচদিন যাবৎ বিশ্বনাথ উপজেলার পৌরসভাসহ আটটি ইউনিয়নে বন্যায় কবলিত প্রায় আড়াইলাখ মানুষ। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ধীরে ধীরে পানি নামা শুরু করেছে।
শনিবার বিকেলে সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার হাসপাতালে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে মোট ২৫জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এরমধ্যে ১০জন রোগী রয়েছেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। আর বাকিরা জ্বরে আক্রান্ত রোগি রয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিদিন জ্বর, ডায়রিয়ারর রোগি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আলীম উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে জ্বহর-ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।সাথে রয়েছে বমি আর বুকে ব্যথা। সাভাবিক হতে সময় লাগবে বলে ডাক্তার বলেছেন।
এদিকে, ঈদের পরের দিন থেকে রুপমালা বেগম তার ১ বছরের শিশুবাচ্চা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শিশুটির জ্বর-ডায়রিয়া হয়েছে। তবে তার বাচ্চাটি অনেকটা সুস্থ হয়েছে বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে হাসপাতালের আরএমও ডা. রাজিব বৈষ্ণব জানান, গত দুইদিন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। বন্যার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে হাসপাতালের জরুরি নাম্বারে ফোন দিয়েও চিকিৎসা পরামর্শ নিয়েছেন।
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, বন্যার সময় পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়া, জ্বর, কাশি, সর্দির প্রকোপ দেখা যায়। পানি কমার সাথে সাথে এই রোগগুলোর প্রকোপ আরও বাড়বে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, বন্যার সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছেন। পাশাপাশি সবাইকে খাবার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে।