ঢাকা ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজ বাংলাদেশে ঈদ Logo বিশ্বনাথ উপজেলাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন সেবুল মিয়া Logo বিশ্বনাথ পৌরবাসীকে মুমিন খান মুন্না’র ঈদ শুভেচ্ছা Logo চাঁদ দেখা গেছে: সৌদি আরবে আজ ঈদ Logo বিশ্বনাথে স্বাধীণতা দিবস পালন করেছে প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দল Logo ফ্রান্সে ‘বিশ্বনাথ উপজেলা যুবসমাজ’র ইফতার মাহফিল Logo বিশ্বনাথে হাজী ছোয়াব আলী ট্রাস্টের উদ্যোগে ৪০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ Logo আওয়ামী দোসরা বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র করছে: নির্বাচনের আগ পর্যন্ত বিএনপিকে মাঠে থাকতে হবে Logo বিশ্বনাথে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে তৌহিদি জনতা Logo নান্দনিক উপহার সামগ্রীর নতুন ছোয়া: বিশ্বনাথে ফাইয়াজ সৌখিন গ্যালারীর উদ্বোধন

বিশ্বনাথে সেতুর মুখে বড় গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল!

  • কামাল মুন্না
  • আপডেট সময় ০২:৫৭:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

গত দুই সপ্তাহ থেকে সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কে সেতুর মুখে বড় গর্ত থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করছে। যেন দেখার কেউ নেই! জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন। কিন্তু এই গর্তের মধ্যে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। সোমবার বিকেলে এমনই দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার বিশ্বনাথ-লামাকাজী ব্যস্ততম সড়কে নকিখালী সেতুর মুখে।

এসড়ক দিয়ে বিশ্বনাথ-রামপাশা-বৈরাগীবাজার-সিংগেরকাছ-লামাটুকেরবাজার-লামাকাজী সড়কের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন। এ সড়কের পার্শ্বে রয়েছে একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালে প্রতিদিনই বিভিন্ন মুমূর্ষ রোগী যাতায়াত করেন। এমনকি রাতে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাস ছোট এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

সরেজমিন দেখা যায়, ওই সড়কের পার্শ্বে দুদিকে বড় বড় খাল রয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টিজনিত কারণে সড়কের মাটি সরে গিয়ে সেতুর নিম্নাঞ্চলে ফাটল ধরায় সেতুর মুখে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যানচলাচলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা বেশি রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ যাবত অবহেলিত থাকা সেতুর মুখের গর্তে বাশের খুটি খাড়া করে এলাকাবাসীর পক্ষে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকেও এনিয়ে চলছে লেখালেখি। কিন্তু এভাবে চলবে কতদিন?

এলাকাবাসীর দাবী, বিশ্বনাথে আমাদের কোন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র না থাকায় কারো কাছে বলার জায়গা পাচ্ছেন না। যেন দেখার কেই নেই। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের মাধ্যমে যাতে এই সেতুর কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়। তাতে পথচারী এবং যানবাহনে যাত্রীসাধারণ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাবেন।

বাস চালক আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। একদিক থেকে গাড়ী নিয়ে আসলে অপর প্রান্তের গাড়ী পারাপারে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাতের বেলা এ সেতু পারাপারে খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
এব্যপারে জানতে চাইলে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) আমির হোসেন বিশ্বনাথকন্ঠ’কে বলেন, আমি শুনেছি। গত বন্যায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নামার সাথে সাথে সেতুর মুখ ধেবে গেছে। তবে খুব শীঘ্রই সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।
জনপ্রিয় সংবাদ

আজ বাংলাদেশে ঈদ

বিশ্বনাথে সেতুর মুখে বড় গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল!

আপডেট সময় ০২:৫৭:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

গত দুই সপ্তাহ থেকে সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কে সেতুর মুখে বড় গর্ত থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করছে। যেন দেখার কেউ নেই! জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন। কিন্তু এই গর্তের মধ্যে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। সোমবার বিকেলে এমনই দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার বিশ্বনাথ-লামাকাজী ব্যস্ততম সড়কে নকিখালী সেতুর মুখে।

এসড়ক দিয়ে বিশ্বনাথ-রামপাশা-বৈরাগীবাজার-সিংগেরকাছ-লামাটুকেরবাজার-লামাকাজী সড়কের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন। এ সড়কের পার্শ্বে রয়েছে একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালে প্রতিদিনই বিভিন্ন মুমূর্ষ রোগী যাতায়াত করেন। এমনকি রাতে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাস ছোট এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

সরেজমিন দেখা যায়, ওই সড়কের পার্শ্বে দুদিকে বড় বড় খাল রয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টিজনিত কারণে সড়কের মাটি সরে গিয়ে সেতুর নিম্নাঞ্চলে ফাটল ধরায় সেতুর মুখে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যানচলাচলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা বেশি রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ যাবত অবহেলিত থাকা সেতুর মুখের গর্তে বাশের খুটি খাড়া করে এলাকাবাসীর পক্ষে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকেও এনিয়ে চলছে লেখালেখি। কিন্তু এভাবে চলবে কতদিন?

এলাকাবাসীর দাবী, বিশ্বনাথে আমাদের কোন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র না থাকায় কারো কাছে বলার জায়গা পাচ্ছেন না। যেন দেখার কেই নেই। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের মাধ্যমে যাতে এই সেতুর কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়। তাতে পথচারী এবং যানবাহনে যাত্রীসাধারণ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাবেন।

বাস চালক আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। একদিক থেকে গাড়ী নিয়ে আসলে অপর প্রান্তের গাড়ী পারাপারে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাতের বেলা এ সেতু পারাপারে খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
এব্যপারে জানতে চাইলে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) আমির হোসেন বিশ্বনাথকন্ঠ’কে বলেন, আমি শুনেছি। গত বন্যায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নামার সাথে সাথে সেতুর মুখ ধেবে গেছে। তবে খুব শীঘ্রই সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।