মনোমুগ্ধকর আয়োজনে বিশ্বনাথ স্পোর্টস অর্গানাইজেশন ইউকের উদ্যোগে সিলেটের বিশ্বনাথে ২য় আন্ত: উপজেলা ক্বেরাত প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (১৬মার্চ) দিনব্যাপী উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলার ১৫টি মাদ্রাসার ৩৯জন প্রতিযোগির মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার লাভ করে বিশ্বনাথ দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. নাদিম।
প্রথম পুরষ্কার হিসেবে বিজয়ীর হতে নগদ ২০ হাজার টাকা ও সম্মাননা তুলে দেন অতিথিরা। ২য় স্থান অধিকারী পাঠাকইন লুৎফাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মুহিবুর রহমানকে ১৫ হাজার টাকা, ৩য় স্থান অধিকারী জামেয়া মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ইয়াসিন খানকে ১০ হাজার টাকা তুলে দেয়া হয়। এছাড়া ৪র্থ থেকে ১০ম স্থান অধিকারীদেরকেও নগদ টাকাসহ পুরুষ্কার দেন অতিথিরা।
এ প্রতিযোগিতায় ৪র্থ হয়েছে শহীদ গুলজার হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তানভীর আহমদ, দারুল উম্মাহ আইডিয়াল মাদ্রাসার শোয়াইব আহমদ ৫ম, বিশ্বনাথ কামিল মাদ্রাসার শাহ আবুল সালেহ ৬ষ্ট, জামেয়া মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসার রেজাউল করীম ৭ম, জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার শফিকুর রহমান ৮ম, শাহপরান অলংকারী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ফতেহ আহমদ মেহরাব ৯ম ও আরাবিয়া সোবাহানিয়া মাদ্রাসার আরিফ খান ১০ স্থান অধিকার লাভ করে।
ক্বেরাত প্রতিযোগিতা শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল হাই, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার ইমাদ উদ্দিন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান দয়াল উদ্দিন তালুকদার, সাবেক চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ আরব খান, মোহাম্মদীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল হক, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী জামাল উদ্দিন, দৌলতপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার শফিক আহমদ পিয়ার, কাদিপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রহিম।
বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন, জামেয়া মোহম্মদীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বিশ্বনাথ দুরুল উলুম কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ইয়াকুব আলী ও জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ফয়জুর রহমান।
দিনব্যাপী সার্বিকভাবে এ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অর্গানাইজেশনের সমন্বয়ক এম. কাওছার আহমদ ও মাওলানা মুখতার হোসাইন। উদ্বোধনী ক্বেরাত পরিবেশন করেন অর্গানাইজেশনের সমন্বয়ক হাফিজ ক্বারী শাহ সাইদুর রহমান।