সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ বলেছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বনাথ প্রবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল। এ অঞ্চলের সবাই বিদেশে থাকেন। শুধু বিদেশে নয় আমাদের দেশের তরে তাদের বড় একটি অবদান রয়েছে। আমাদের দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মানের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এই বিশ্বনাথকেও স্মার্ট হতে হবে। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে স্মার্ট শিক্ষার প্রয়োজন। এজন্য স্মার্ট জাতিতে রুপান্তিরিত করতে আমাদের সুশিক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি আরোও বলেন, ‘বাসিয়া নদী’ পুন:খনন’সহ বিশ্বনাথের উন্নয়নের জন্য অনেক প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে, একটু দেরি হলেও এর সুফল পাবেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এই অঞ্চলের এমপি আছেন। বিশ্বনাথকে ‘স্মার্ট উপজেলা’য় রূপান্তরিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বিশ্বনাথ অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে ‘বিশ্বনাথের উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ’র সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসবকথা বলেন তিনি।
এরআগে সভায় বক্তারা প্রধান অতিথির কাছে ‘সিলেট বিভাগে কর্মসৃজন প্রকল্প চালু, একটি বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন, দখলে থাকা বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের ভূমি উদ্ধার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, পৌরসভার কার্যালয়ে মেয়রের বাসায় স্থানান্তর ও বিরুধ মিমাংশা বোর্ডের নামে মানুষের মানহানি করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন’ করার জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবী জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী আবু সাঈদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ওয়াহিদ আলী, লামাকাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আহমদ মতসিন, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির ইমাম উদ্দিন, বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দয়াল উদ্দিন তালুকদার, বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি আশিক আলী, সহসভাপতি কামাল মুন্না, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম মনোওর আলী, বিশ্বনাথ দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নু’মান আহমদ, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মানিক মিয়া, সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক, রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সদস্য আলতাব হোসেন, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রব, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমন, কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়, ভেটেরিনারি সার্জন শামীমা সুলতানা, শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক অঞ্জন কুমার দাস, আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা আমির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রাসেল ভূইয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রজেশ চন্দ্র দাস, নির্বাচন কর্মকর্তা স্বর্ণালী চক্রবর্তী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বদরুন নাহার, তথ্যসেবা কর্মকর্তা ঝুমা তালুকদার, খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিনার হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শান্তিময় ভট্টাচার্য্য, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন কুমান ধর, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী মো. আবুল কাসেম, পরিসংখ্যান কার্যালয়ের এসআই শংকর কুমার দাশ, একাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুল হামিদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড সুপার ভাইজার মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন, বিএমপিএসবি মামুনুর রশীদ, ফিজিওথেরাপিষ্ট রুবেল রানা, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দাশ, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের এজিএমকম আব্দুল্লাহ সিকদার, ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সাব অফিসার আক্রামুল ইসলাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।