সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান সুইট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান করিমা বেগম। রোববার দুপুরে উপজেলা কনফারেন্স হলে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা দায়িত্ব গ্রহন করেন। তবে অনুষ্ঠানে সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত হননি সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়া বেগম। নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তারা দুজনই ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন ও সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে, ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না পৌরসভার মেয়র বা তাদের কোন প্রতিনিধি। তাদের দুজনের উপস্থিতি না থাকার কারন জানতে অনেকবার তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তারা সাড়া দেন নি। তবে, অফিস সূত্রে জানা গেছে, এসএম নুনু মিয়া গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র দিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার বলেন, চেয়ারম্যানকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি কেন আসেন নি, সেটা জানি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা আক্তার’র সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকৌলী আবু সাঈদ এর পরিচালনায় দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান সুইট, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান করিমা বেগম, সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দিলোয়ার হোসেন সুমন, উপজেলা কৃষি অফিসার কনক চন্দ্র রায়, ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম উদ্দিন, কবির হোসেন ধলা মিয়া, ফখরুল ইসলাম মতছিন, আরব খান, এমাদ উদ্দিন খান, দয়াল উদ্দিন তালুকদার, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হবিবুল ইসলাম, বিশ্বনাথ মডেল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু।
উল্লেখ্য, ৮ মে প্রথম ধাপে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাত্র ৫৮৪ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন বিএনপি ঘরানার প্রবাসী মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী। তার প্রাপ্ত ভোট (কাপ-পিরিচ) ১৩ হাজার ৩২২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি গিয়াস উদ্দিন আহমদ (আনারস) প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৯৬৮ ভোট। মুহিবুর রহমান সুইট মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আল ইসলাহ’র ইসলাম উদ্দিন বই প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫১২ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান করিমা বেগম কলস প্রতীকে ২৩ হাজার ৬৫৯ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়া বেগম ফুটবল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৮ হাজার ১৫৬ ভোট। এরপর গত ২৭ মে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে তারা শপথ নেন। আর গত নির্বাচনে নুনু মিয়া আর অংশ নেন নি। তবে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলিয়া বেগম বিগত নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি।